Header Ads

বেসামরিক নাগরিকদের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পাইলট যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন: আইএসপিআর



ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত বিমান বাহিনীর বিমানের নিহত পাইলট, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম, বেসামরিক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বিমানটিকে কম জনবহুল এলাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন।

তবে, জেটটি ঢাকার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি দোতলা ভবনে মর্মান্তিকভাবে বিধ্বস্ত হয়, এতে ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়, এতে বলা হয়েছে।

সোমবার দুপুর ১:০৬ মিনিটে ঢাকার কুর্মিটোলায় অবস্থিত বিমান বাহিনীর ঘাঁটি থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ অনুশীলনের অংশ হিসেবে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর FT-7 BGI যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে, যার বিস্তারিত তথ্য একটি সরকারী তদন্তের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, পাইলট সহ ১৯ জন নিহত এবং ১৬৪ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের দ্রুত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার এবং অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) এবং নিকটবর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা এবং সম্ভাব্য সকল সহায়তা নিশ্চিত করতে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বর্তমানে সরকারি সফরে বিদেশে থাকায়, সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন), বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

সেনাপ্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও সরকারি কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুর্ঘটনাস্থলে যৌথ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য ইতিমধ্যেই বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি উচ্চ-স্তরের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.